Shahadat Hossain Khan books

Shahadat Hossain Khan books

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান ভাসাভাসা। এজন্য আমরা বিভ্রান্তিতে ভুগি। যার যার মতাে করে ব্যাখ্যা দেই । কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়। আজ পর্যন্ত মানব ইতিহাসে যত ঘটনা ঘটেছে সেগুলাের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্থান সর্বাগ্রে । এত রক্তক্ষয় এবং এত ট্র্যাজেডি ভবিষ্যতে আর কখনাে ঘটবে কিনা সন্দেহ। এ যুদ্ধ নিয়ে কম লেখালেখি হয়নি। তবে অধিকাংশ বই-ই মিত্রপক্ষের লেখা। এসব বই একপেশে ও পক্ষপাতদুষ্ট। অক্ষশক্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আরেকটি পক্ষ। পরাজিত হওয়ায় তাদের পক্ষে কেউ কলম ধরে না। তাদের কথা কেউ শুনতেও চায় না। মিত্রপক্ষ যা বলছে সবাই তাই বিশ্বাস করছে। কিন্তু ন্যায়বিচারের মানদণ্ডে তা সঠিক হতে পারে না। যুদ্ধের বিষয়বস্তু নিয়ে আলােচনা ও দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং যুদ্ধের বিবরণ প্রদানে উভয়পক্ষের বক্তব্যকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ট্র্যাজেডিতে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস থেকে মোগলদের মুছে ফেলা সম্ভব নয়। আমাদের যুগে আমরা জীবনের বহুক্ষেত্রে তাদের প্রভাব অনুভব করি। তাই তাদের সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। এ তাগিদ থেকেই বইটি লিখা হয়েছে। মোগল ইতিহাসের ওপর কত বই লিখা হয়েছে তার সীমা পরিসীমা নেই। তবে অধিকাংশ বইয়ে মোগল ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে এবং মোগলদের আগ্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ বইটির সঙ্গে অন্যান্য বইয়ের তফাৎ এখানেই। মোগল সম্রাটগণ ভারতকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু প্রজাদের মন জয় করার জন্য তারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয়কে গৌণ হিসাবে গণ্য করেছেন। মোগলদের শাসন ছিল ভারতের স্বর্ণযুগ। পরবর্তীতে ব্রিটিশ এবং স্বাধীন ভারত মোগলদের কৃতিত্বকে ডিঙ্গিয়ে যেতে পারেনি। এখনো মোগল শাসন একটি সর্বোত্তম শাসন ব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃত।

অটোমান ইতিহাস মানে অটোমান সুলতানদের কর্মময় জীবন। ১২৯৯ সালে এ শাহী বংশের রাজত্ব শুরু হয় এবং প্রায় ৬ শো বছর স্থায়ী হয়। মােট ৩৬ জন সুলতান রাজত্ব করেছেন। ২০১৮ সালে প্রকাশিত ‘অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান’ শিরােনামে বইয়ে ১৮ জন সুলতানের কার্যকাল নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। ‘অটোমান সাম্রাজ্যের পতন’ শিরােনামে এই বইটিতে অবশিষ্ট ১৮ জন সুলতান এবং একজন অটোমান খলিফার কার্যকাল ও তাদের আমলে সংঘটিত ঘটনাগুলাে স্থান পেয়েছে। ক্রম অনুযায়ী উনিশতম সুলতান চতুর্থ মেহমেদ থেকে বইটি শুরু হয়েছে এবং শেষ হয়েছে দ্বিতীয় আবদুল মজিদে। ১৬৮৮ সালে সুলতান চতুর্থ মেহমেদের রাজত্বকাল শুরু হয়। এভাবে একে একে

পরবর্তী সুলতানদের কার্যকাল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ছত্রিশতম সুলতান ষষ্ঠ মেহমেদ হলেন সর্বশেষ। তার আমলে আনুষ্ঠানিকভাবে অটোমান সালতানাত শেষ হয়ে যায়। সুলতান ষষ্ঠ মেহমেদ দোলমাবাহাচ প্রাসাদের পেছনের দরজা দিয়ে চিরদিনের জন্য স্বদেশ ত্যাগ করেন এবং ১৯২২ সালের ১৭ নভেম্বর ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ মালায়ায় আশ্রয় নেন। ষষ্ঠ মেহমেদ শেষ অটোমান সুলতান হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে আবদুল মজিদকে শেষ খলিফা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৬ মাস পর ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ অটোমান খেলাফত বিলুপ্ত এবং অটোমান শাহী বংশকে ক্ষমতাচ্যুত এবং আবদুল মজিদকে তুরস্ক থেকে বহিষ্কার করা হয়। এখানে এসে পৃথিবীর অতি প্রাচীন একটি শাহী বংশের শাসনে যবনিকাপাত ঘটে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Chat with Afsar Brothers